রাজশাহীর সেরা ব্লগার মোঃ মোরছালিন - জানুন বিস্তারিত
TechSpread
১৪ মে, ২০২৫
রাজশাহীর সেরা ব্লগার মোঃ মোরছালিন
– এই নামটা এখন বাংলা ব্লগিং দুনিয়ায় এক পরিচিত মুখ। রাজশাহীর মতো শান্ত শহর থেকে
উঠে এসে যেভাবে তিনি প্রযুক্তি, অনলাইন ইনকাম ও শিক্ষা সম্পর্কিত কনটেন্ট তৈরি
করে হাজারো পাঠকের মন জয় করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বর্তমান সময়ে এমন অনেকেই আছেন যারা ব্লগ শুরু করতে চান, কিন্তু দিশাহীনতায় ভোগেন।
মোঃ মোরছালিন তার বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, শুধু ইচ্ছা থাকলেই একজন
সাধারণ ছাত্র থেকেও
রাজশাহির সেরা ব্লগার হওয়া সম্ভব।
তার লেখা কনটেন্টগুলো যেমন তথ্যবহুল, তেমনি নতুনদের জন্য সহজ করে উপস্থাপন করা যা
পড়লে বোঝা যায়, তিনি শুধু ব্লগারই নন, বরং একজন দায়িত্ববান গাইড।
রাজশাহীর সেরা ব্লগার মোঃ মোরছালিন যেভাবে শুরু করেন
রাজশাহীর সেরা ব্লগার মোঃ মোরছালিন তরুণদের মধ্যে আজ এক অনন্য নাম। ব্লগিং জগতে
তার যাত্রা শুরু হয়েছিল খুব সাধারণ এক আগ্রহ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্যদের
সাহায্য করার ইচ্ছা। শুরুতে তিনি প্রযুক্তি বিষয়ক সাধারণ সমস্যা, যেমনঃ মোবাইল
সেটিংস, ইন্টারনেট সমস্যার সমাধান, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম ইত্যাদি নিয়ে ছোট ছোট
পোস্ট লিখতেন ফেসবুক ও বিভিন্ন ফোরামে। তবে তার যাত্রা গতি পায় যখন তিনি
techspread24.com নামে একটি
নিজস্ব ব্লগ ওয়েবসাইট চালু করেন।
সেখানে তিনি নিয়মিতভাবে SEO - সহায়ক কনটেন্ট তৈরি করতে শুরু করেন। প্রাথমিক
পর্যায়ে হয়তো পাঠকের সংখ্যা কম ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে গুগল সার্চে তার কনটেন্ট
র্যাংক করতে থাকে। তার কনটেন্টের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো সহজ ভাষা, বাস্তব
অভিজ্ঞতা, আর বাংলায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা। মোঃ মোরছালিন সব সময় সময়োপযোগী এবং
দরকারি বিষয়গুলো বেছে নেন।
বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ই-সার্ভিস
যেমনঃ ই-পর্চা, ডিজিটাল খতিয়ান, ভূমি অফিস সংক্রান্ত তথ্য, মোবাইল অ্যাপ
ডেভেলপমেন্ট, এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক ইনকামের পথ
নিয়ে তিনি অসাধারণ বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট করেন। এতে পাঠকের আস্থা বাড়ে এবং একসময়
তার ব্লগ হয়ে ওঠে অনেকের প্রযুক্তি সহযোগীর মতো। শুধু লিখেই তিনি থেমে থাকেন না।
পাঠকদের মন্তব্য ও প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি সবসময় প্রস্তুত থাকেন।
এই ইন্টারঅ্যাকটিভ মনোভাব তাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। তার এই সাফল্যের পেছনে
রয়েছে নিরবিচারে পরিশ্রম, লেখার প্রতি ভালোবাসা, এবং মানুষের উপকার করার এক সুদৃঢ়
মানসিকতা এইভাবেই রাজশাহির একজন সাধারণ তরুণ হয়ে উঠেছেন
সেরা ব্লগার হিসেবে পরিচিত
মোঃ মোরছালিন। তার এই পথচলা এখন অনেকের অনুপ্রেরণা, বিশেষ করে তরুণদের জন্য, যারা
নিজেও কিছু করতে চায় ডিজিটাল বাংলাদেশে অবদান রাখতে।
ছোট শহর থেকে ব্লগিং জগত জয়
ছোট শহর থেকে ব্লগিং জগত জয় করাটা সহজ নয়, কিন্তু অসম্ভবও নয়। সীমিত
সুযোগ-সুবিধা, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং সঠিক গাইডলাইনের অভাব থাকা সত্ত্বেও
অনেকেই তাদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো পেরিয়ে যায়। ছোট
শহরের একজন তরুণ যখন ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নিজের চিন্তা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা
দিয়ে ব্লগ তৈরি করে এবং তা দিয়ে হাজারো মানুষকে সহায়তা করে, তখন সেটিই হয়ে ওঠে
সত্যিকারের সাফল্য।
এদের অনেকেই প্রথমে শুরু করে সাধারণ বিষয় নিয়ে যেমন মোবাইল টিপস, সরকারি অনলাইন
সেবা, কিংবা ইউটিলিটি অ্যাপ ব্যবহার। ধীরে ধীরে তারা SEO শেখে, ওয়েবসাইট ডিজাইন
করে, আর কনটেন্টের মাধ্যমে গড়ে তোলে একটি বিশ্বস্ত পাঠকবৃন্দ। বড় শহরের সুবিধা না
পেলেও, ছোট শহরের শান্ত পরিবেশ, নিজের একাগ্রতা ও ইচ্ছাশক্তি তাদের এগিয়ে নিয়ে
যায়।
এই ধরনের ব্লগাররা প্রমাণ করে দিয়েছে প্রযুক্তি এখন এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে,
যেখানে অবস্থান বড় কথা নয়, বড় কথা হলো আপনার মেধা, অধ্যবসায় ও উদ্যম। তাই ছোট
শহর থেকেও যে কেউ আজ ব্লগিংয়ের মাধ্যমে পুরো অনলাইন দুনিয়ায় নিজের পরিচিতি গড়তে
পারে।
টেক ও বাস্তবমুখি ব্লগিং এ কিভাবে সফল হলেন
টেক ও বাস্তবমুখি ব্লগিংয়ে সফল হওয়ার মূল চাবিকাঠি হলো মানুষের বাস্তব
সমস্যার সমাধান দেওয়া এবং তা সহজভাবে উপস্থাপন করা। একজন সফল ব্লগার প্রথমেই
বুঝে নেন, তার পাঠক কারা, এবং তারা কী ধরনের তথ্য বা সমাধান খুঁজছেন। মোঃ
মোরছালিনের মতো অনেক ব্লগারই শুরুতে জটিল টেকনোলজিক্যাল বিষয়ে না গিয়ে,
সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রযুক্তি সমস্যার দিকেই বেশি মনোযোগ দেন যেমনঃ মোবাইল
ফোনের সঠিক ব্যবহার, অনলাইন ফরম পূরণ, ই-নাগরিক সেবা, কিংবা অ্যাপ ব্যবহারের
গাইড।
তিনি তার লেখায় শুধু প্রযুক্তির ভাষা ব্যবহার করেন না, বরং সেটা সাধারণ বাংলায়
বোঝাতে পারেন পাশাপাশি, তার প্রতিটি কনটেন্টেই থাকে বাস্তব উদাহরণ, ছবি বা
স্ক্রিনশট, এবং ধাপে ধাপে সমাধান এটি পাঠকদের আস্থা অর্জনে সাহায্য করে। এ
ছাড়া SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তিনি তার ব্লগ গুগল
সার্চে প্রথম সারিতে আনতে সক্ষম হন।
তার আরেকটি বড় গুণ হলো নিয়মিত আপডেট থাকা। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন
হচ্ছে, তাই একজন সফল টেক ব্লগার হিসেবে তিনি তার কনটেন্টও সময়মতো আপডেট করেন,
যাতে তথ্য পুরনো না হয়ে যায়। এইসব সচেতনতা এবং পাঠকের উপকারে আসার মানসিকতাই
তাকে টেক ও বাস্তবমুখি ব্লগিংয়ে সফল করে তুলেছে।
তার ব্লগে কিধরনের কন্টেন্ট আছে ?
মোঃ মোরছালিনের ব্লগে মূলত প্রযুক্তি ও বাস্তবজীবনের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল
সেবা সম্পর্কিত কনটেন্ট পাওয়া যায়। তার লেখাগুলো এমনভাবে সাজানো যে,
একজন সাধারণ ব্যবহারকারীও সহজেই বুঝতে পারেন এবং প্রয়োজনে তা অনুসরণ
করে সমাধান পেতে পারেন। ব্লগের প্রধান কনটেন্ট ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে
রয়েছেঃ ই - সেবা ব্যবহার গাইড, যেমন e -পর্চা, খতিয়ান অনুসন্ধান, অনলাইন ভূমি সেবা, জন্মনিবন্ধন, নাগরিক
সনদ প্রাপ্তি প্রক্রিয়া
ইত্যাদি।
এছাড়াও তার ব্লগে রয়েছে
টেক টিপস ও ট্রিকস,
যেখানে মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট বা গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনা
সম্পর্কিত কনটেন্ট নিয়মিত আপডেট করা হয়। যারা অনলাইনে আয় করতে চান
তাদের জন্যও ব্লগে রয়েছে বাস্তবমুখি গাইডলাইন, যেমনঃদিনে ২০০ - ৫০০ টাকা ইনকামের উপায়, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইউটিউবিং ইত্যাদি বিষয়ক
পোস্ট।
তার ব্লগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো
অ্যাপ রিভিউ ও ব্যবহারের নিয়ম যেখানে তিনি জনপ্রিয় ও দরকারি অ্যাপগুলোর ফিচার ব্যাখ্যা করেন এবং
ব্যবহার পদ্ধতি দেখান। এর পাশাপাশি, বিশেষ সময়ে আলোচিত টেকনোলজি
ইভেন্ট, যেমন
FIFA Club World Cup 2025
সংক্রান্ত তথ্য ও বিশ্লেষণধর্মী পোস্টও তার ব্লগে প্রকাশিত হয়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, তার ব্লগ হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে
প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশে অংশ নিতে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যক্তি
প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকেন। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী
কনটেন্টই তার ব্লগকে আলাদা ও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
নতুন দের জন্য তার স্পষ্ট পরামর্শ
ব্লগিংয়ে নতুনদের উদ্দেশ্যে মোঃ মোরছালিন সবসময়ই একটি বাস্তবভিত্তিক
ও অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেন ধৈর্য ধরুন, শিখুন, এবং নিয়মিত লিখুন। তিনি বিশ্বাস করেন, সফল ব্লগার হওয়ার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে
টাকা ইনকামের চিন্তা না করে, বরং
মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করার উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
অনেকেই শুরুতেই গুগল অ্যাডসেন্স বা ইনকাম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ফলে
ব্লগিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ও কনটেন্টের মান হারিয়ে যায়। মোঃমোরছালিন
বলেন,
আপনার লেখা যদি মানুষের কাজে আসে, ইনকাম আপনাআপনি আসবে।
তিনি নতুনদের পরামর্শ দেন নিজের আগ্রহ ও দক্ষতা অনুযায়ী টপিক নির্বাচন করুন।
অন্যকে দেখে অন্ধভাবে কপি না করে এমন কিছু লিখুন যেটা আপনি বোঝেন এবং
বোঝাতে পারেন। নিজের লেখা নিজেই গুগল করে খুঁজে দেখুন, SEO কতটা কাজ
করছে বুঝুন, এবং ভুল থেকে শিখুন।
এছাড়া, তিনি বলেন ব্লগিং মানে শুধু লিখা নয়, এটি একটি দায়িত্ব।
কারণ, অনেক মানুষ ব্লগ পড়ে সিদ্ধান্ত নেয় বা কাজ শেখে। তাই তথ্য
যাচাই না করে কিছু পোস্ট করা উচিত নয়। তিনি উৎসাহ দেন ছবি ব্যবহার,
টেবিল-ডেটা যুক্ত বিশ্লেষণ, এবং বাস্তব উদাহরণ দিয়ে লেখাকে আরও
প্রাণবন্ত করার। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো নিজস্বতা বজায় রাখা।
কপি-পেস্ট না করে নিজের ভাষায়, নিজের মত করে লেখাই একজন ব্লগারকে
দীর্ঘমেয়াদে সফল করে তোলে।
সবচেয়ে বড় কথা, তিনি নতুনদের বলেন সময় দিন, প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখুন এবং কনটেন্ট বানান।
দিনে একটি হলেও মানসম্মত পোস্ট তৈরি করুন। পাঠকের প্রশ্নের উত্তর
দিন, ফিডব্যাক নিন, এবং নিয়মিত নিজের কাজ বিশ্লেষণ করুন। তাহলে ধীরে
ধীরে আপনি নিজেই অনুভব করবেন আপনার ব্লগ হয়ে উঠছে অনেকের প্রিয়
ঠিকানা।
প্রতিদিন কত মানুষ পরে তার ব্লগ?
একজন সফল ও বাস্তবমুখী কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে মোঃ মোরছালিনের ব্লগ
এখন হাজারো মানুষের প্রতিদিনের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। তার ব্লগে
প্রতিদিন গড়ে
৪,০০০ থেকে ৬,০০০
মানুষ ভিজিট করে, যারা বিভিন্ন প্রযুক্তি সমস্যা সমাধান, সরকারি
ডিজিটাল সেবা, এবং অনলাইন ইনকামের বাস্তব উপায় জানতে ব্লগটি অনুসরণ
করে। গুগল, ফেসবুক, এবং রেফারেল সোর্স মিলিয়ে এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত
বাড়ছে, যা তার কনটেন্টের গুণমান ও পাঠকের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রমাণ।
এই পাঠকদের বড় একটি অংশ আসে মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে থেকে যারা
সরাসরি গুগলে e-পর্চা দেখার নিয়ম, জমির খতিয়ান বের করবো
কীভাবে?, কিংবা দিনে ২০০ টাকা আয় করার সহজ উপায় টাইপ করে
তার ব্লগে প্রবেশ করে। অনেকেই নিয়মিত ফলো করেন এবং নতুন পোস্টের জন্য
অপেক্ষায় থাকেন। বিশেষ করে যেসব পোস্টে ধাপে ধাপে গাইড, স্ক্রিনশট,
এবং বাস্তব উদাহরণ থাকে, সেগুলোর পঠিত সংখ্যা অনেক বেশি।
তার ব্লগে পাঠক শুধু পড়েই না, বরং কমেন্ট করে, শেয়ার করে, এবং
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন করে যা দেখায় যে ব্লগটি শুধু একমুখী
তথ্য নয়, বরং একটি
ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্মে
পরিণত হয়েছে। এই নিয়মিত পাঠকগোষ্ঠীই তার ব্লগের সবচেয়ে বড় সম্পদ, এবং
এটি তাকে আরও দায়িত্ববান ও উন্নয়নমুখী ব্লগার হিসেবে গড়ে তুলেছে।
ফেসবুক ও ইউটিউব এ সক্রিয়তা কেমন
ব্লগিংয়ের পাশাপাশি মোঃ মোরছালিন সামাজিক মাধ্যম, বিশেষ করে
ফেসবুক ও ইউটিউবেও অত্যন্ত সক্রিয়। এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে তিনি শুধু নিজের কনটেন্ট প্রচারের মাধ্যম
হিসেবে নয়, বরং
পাঠকের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ তৈরির অন্যতম উপায়
হিসেবে ব্যবহার করেন। ফেসবুকে তার একটি সক্রিয় পেজ ও গ্রুপ রয়েছে,
যেখানে তিনি নিয়মিত ব্লগ আপডেট, টেক টিপস, ডিজিটাল সেবার লাইভ
গাইড, এবং প্রশ্নোত্তর পোস্ট করে থাকেন। পাঠকরা সেই পোস্টে মন্তব্য
করে তাদের সমস্যা জানান, আর তিনি দ্রুত ও স্পষ্ট উত্তর দিয়ে
সাহায্য করেন।
অন্যদিকে,
ইউটিউবে তিনি আরও বাস্তবভিত্তিক কনটেন্ট
প্রকাশ করে থাকেন যেমনঃ কিভাবে অনলাইনে e -পর্চা বা জন্মনিবন্ধন বের
করতে হয়, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার, কিংবা প্রযুক্তি সংক্রান্ত সাধারণ
সমস্যার সমাধান। তার ইউটিউব ভিডিওগুলো
সহজ ভাষায় ব্যাখ্যামূলক হওয়ায়
দর্শকেরা দ্রুত বুঝতে পারেন এবং কার্যকরভাবে কাজটি করতে পারেন।
অনেকে ব্লগের পোস্টে প্রবেশের আগেই ইউটিউব ভিডিও দেখে সমাধান পেয়ে
যান।
ফেসবুক ও ইউটিউব উভয় মাধ্যমেই তার
বিশ্বস্ত অনুসারী (followers/subscribers) সংখ্যা দিন
দিন বাড়ছে। এই মাধ্যমগুলোতে সক্রিয় থাকার ফলে, তিনি একটি বড় অনলাইন
কমিউনিটি তৈরি করতে পেরেছেন, যারা শুধু তথ্য গ্রহণ করে না, বরং
নিজেদের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করে। এটি তার ব্লগিং কার্যক্রমকে আরও
সমৃদ্ধ ও বাস্তবমুখী করে তুলেছে।
রাজশাহীর অন্য ব্লগার দের প্রতি বার্তা
রাজশাহী থেকে উঠে আসা রাজশাহীর সেরা ব্লগার মোঃ মোরছালিন
রাজশাহীর অন্যান্য ব্লগারদের প্রতি সর্বদা উৎসাহব্যঞ্জক ও
সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন। তার বার্তা খুবই
স্পষ্ট আমরা সবাই মিলে রাজশাহীকে দেশের অন্যতম ব্লগিং হাবে পরিণত করতে
পারি, যদি আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করি এবং মানসম্মত কনটেন্ট
তৈরি করি। তিনি মনে করেন, একজন ব্লগার কখনোই অন্য ব্লগারকে প্রতিযোগী
ভাববে না; বরং ভাববে
সহযোদ্ধা, যিনি একই
লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন মানুষের উপকার করা ও ডিজিটাল জ্ঞান ছড়িয়ে
দেওয়া।
তিনি রাজশাহীর নতুন ও আগ্রহী ব্লগারদের বলেন,
নিজের এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে কনটেন্ট তৈরি
করুন।
কারণ স্থানীয় বিষয়গুলো নিয়ে তথ্যভিত্তিক এবং বাস্তব কনটেন্ট তৈরি
করলে তা শুধু গুগলে র্যাঙ্কই করে না, বরং অনেকের বাস্তব জীবনের
সমস্যার সমাধান দেয়। তিনি আরো বলেন,
একজন ব্লগারের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার পাঠক। তাই পাঠকের
উপকারকে প্রাধান্য দিন, না যে কীভাবে গুগলে টাকা আসবে।
মোরছালিন মনে করেন, রাজশাহীর তরুণদের মাঝে যে মেধা, ধৈর্য ও
সৃজনশীলতা আছে তা ঠিকভাবে কাজে লাগালে রাজশাহী থেকেই আরও অনেক সফল
ব্লগার উঠে আসতে পারে। এজন্য প্রয়োজন
ধৈর্য, একাগ্রতা, নিয়মিত অনুশীলন এবং একে অপরের সফলতা উদযাপন
করার মানসিকতা।
ভবিষ্যৎ লক্ষ ও পরিকল্পনা কি ?
মোঃ মোরছালিন ব্লগিং-কে শুধুমাত্র একটি অনলাইন পেশা হিসেবে দেখেন
না তিনি এটিকে দেখেন
একটি দায়িত্ব, একটি মিশন
হিসেবে। তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য খুবই সুস্পষ্টঃ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন সহজে ও নিরাপদে প্রযুক্তি
ব্যবহার করতে পারে, সেদিকে সহায়তা করা।
তিনি চান তার ব্লগ “techspread24.com” এবং অন্যান্য
প্ল্যাটফর্মগুলো হয়ে উঠুক
দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বাংলা প্রযুক্তি তথ্যভান্ডার।
তিনি পরিকল্পনা করেছেন, আগামীতে তার ব্লগে
ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট (ইউটিউব ভিডিও, ইন্টারঅ্যাকটিভ গাইড)
যুক্ত করে পাঠকদের জন্য আরও সহজবোধ্য করে তোলা হবে। এছাড়া তিনি
একটি মোবাইল অ্যাপ
তৈরির পরিকল্পনায় আছেন, যেখানে এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে e - পর্চা,
জন্মনিবন্ধন যাচাই, অনলাইন ইনকাম, শিক্ষাপ্রযুক্তি ও সরকারি
সেবার সব তথ্য। তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে তিনি ভবিষ্যতে
ব্লগিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে একটি অনলাইন কোর্স
চালু করতে চান, যা একদম বাস্তবভিত্তিক এবং বাংলা ভাষায়
হবে।
তার ইচ্ছা, রাজশাহী সহ সারা দেশের তরুণেরা যেন নিজের ভাষায়,
নিজের জায়গা থেকেই আয়ের পথ তৈরি করতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, তার
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মূল কথা হলো মানবিক প্রযুক্তি চর্চা। যেখানে টেকনোলজি কেবল জ্ঞান নয়, বরং মানুষকে সহায়তা করার একটি
শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে।
প্রযুক্তির সহজ ব্যবহারঃ মোঃ মোরছালিনের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ
যেন সহজে ও নিরাপদে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে, সেই দিকে
সহায়তা করা।
ব্লগের উন্নতিঃ তার ব্লগ "techspread24.com" কে দেশের সবচেয়ে
নির্ভরযোগ্য বাংলা প্রযুক্তি তথ্যভান্ডার হিসেবে গড়ে
তোলা।
ভিজ্যুয়াল কনটেন্টঃ ভবিষ্যতে ব্লগে ইউটিউব ভিডিও, ইন্টারঅ্যাকটিভ গাইডসহ
আরও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট যুক্ত করা হবে, যা পাঠকদের জন্য আরও
সহজবোধ্য হবে।
মোবাইল অ্যাপঃ একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করার পরিকল্পনা, যা দিয়ে এক
ক্লিকেই e-পর্চা, জন্মনিবন্ধন, অনলাইন ইনকাম,
শিক্ষাপ্রযুক্তি এবং সরকারি সেবার সব তথ্য পাওয়া যাবে।
অনলাইন কোর্সঃ ব্লগিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে একটি অনলাইন কোর্স
চালু করা, যা বাস্তবভিত্তিক ও বাংলা ভাষায় হবে।
মানবিক প্রযুক্তি চর্চাঃ টেকনোলজি কেবল জ্ঞান নয়, বরং মানুষের সহায়তার একটি
শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা।
শেষকথাঃ রাজশাহীর সেরা ব্লগার মোঃ মোরছালিন
রাজশাহীর সেরা ব্লগার মোঃ মোরছালিন নামের পিছনে রয়েছে
শ্রদ্ধা, পরিশ্রম এবং ধারাবাহিকতা। তিনি তার ব্লগিং যাত্রা শুরু করেছিলেন একেবারে প্রাথমিক
পর্যায় থেকে, যেখানে তিনি নিজের কাজে একাগ্র ছিলেন। ব্লগের
প্রথম দিনগুলিতে সহজ, সাধারণ পাঠকদের জন্য প্রযুক্তি বিষয়ক
কনটেন্ট তৈরি করতে থাকেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কনটেন্টের
মান বাড়ে এবং তথ্যসমৃদ্ধ হয়ে উঠে। তার ব্লগের
বিশ্বাসযোগ্যতা
এবং
পাঠক প্রীতি
তাকে রাজশাহীর সেরা ব্লগারের তকমা এনে দিয়েছে।
মোঃ মোরছালিন কখনোই শুধু প্রফেশনাল উদ্দেশ্যে ব্লগিং করেননি বরং তিনি বিশ্বাস করেন, ব্লগিং হলো
একটি দায়িত্ব, মানুষের জন্য কিছু করা। তিনি তার ব্লগে যে কনটেন্ট উপস্থাপন করেন তা কখনোই সাধারণ বা
অল্প তথ্যসমৃদ্ধ নয়। প্রতিটি পোস্ট বা আর্টিকেল সব সময়
গবেষণালব্ধ,
ব্যবহারিক এবং
পাঠকদের সমস্যা সমাধানকারী
হয়। ব্লগিংয়ের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত তার প্রতিটি লেখা প্রমাণ
করেছে যে তিনি
সত্যিকার ব্লগিংয়ের মিশন
নিয়ে কাজ করছেন, যেখানে কেবল ব্যক্তিগত লাভ নয়, বরং
মানুষের উপকার
করার উদ্দেশ্যও রয়েছে।
তার কনটেন্টের গভীরতা এবং তথ্যের সঠিকতা তাকে একজন সেরা ব্লগার
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার কাজের প্রতি একাগ্রতা এবং
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতা
তাকে শুধুমাত্র একজন ব্লগার নয়, বরং
একজন ডিজিটাল নেতা
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আজকের দিনে রাজশাহীতে ব্লগিংয়ের যে
ভূমিকা, সেখানে মোঃ মোরছালিনের অবদান অপরিসীম এবং তার সাফল্য
আরও অনেক ব্লগারকে
অনুপ্রাণিত
করে।
Techspread24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url