মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে । যোগাযোগ ,শিক্ষা ,বিনোদন এমনকি কাজের ক্ষেত্রেও এর ব্যাবহার অনস্বীকার্য । কিন্তু এই অত্তাধিক ব্যাবহার আমাদের শরীর ও মানুষিক সাস্থের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর সথিক ব্যাবহার জানা জরুরি।

মোবাইল ফোনের কিছু ক্ষতিকর দিক

  • চোখের ক্ষতি:
  • দীর্ঘ সময় স্ক্রীন এ তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে চাপ পরে,যা চোখ শুকিয়ে যাওয়া ,ঝাপসা দেখা বা মাথা বেথার কারন হতে পারে

  • ঘুমের সমস্যা:
  • রাতে ঘুমানর আগে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করলে মেলাটনিন নামক হরমোন নিঃসরণ ব্যাহত হয়,যার ফলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়

  • মানুষিক চাপ ও উদ্বেগ:
  • অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার মানুষিক ছাপ,হতাসা ও আত্মবিশ্বাস এর অভাব তৈরি করতে পারে।

  • শারিরিক সমস্যা:
  • মোবাইল হাতে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা ঘাড়, পিঠ ও কব্জির বেথার সৃষ্টি করে । এটি "টেক্সট নেক " বা "কার্পাল টানেল সিনড্রোম " এর মত সমস্যার কারন হতে পারে।

  • নির্ভরতা ও আসক্তি:
  • মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি পরালেখা ,পারিবারিক সম্পরক এবং সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কিভাবে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে নিজেক রক্ষা করা যায়?

  1. নিয়ম মেনে ব্যবহার করুনঃ
  2. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল ব্যাবহার করুন। প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল স্ক্রল না করাই ভালো।

  3. স্ক্রীন টাইম কমানঃ
  4. ফোনের সেটিংসে স্ক্রীন টাইম নিরধারিত করে দিন । এতে নির্দিষ্ট সমই পার হলে আপনাকে সতর্ক করবে ।

  5. রাতে ফোন দূরে রাখুনঃ
  6. ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিন আগে মোবাইল ফোন ব্যাবহার বন্ধ করুন এবং ফোন বিছানা থেকে দূরে রাখুন।

  7. ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যাবহার করুনঃ
  8. মোবাইল এর ব্লু লাইট ফিল্টার চালু রাখলে চোখের ক্ষতি কিছুটা কমান যায়।

  9. বাস্তব জীবনে সময় দিনঃ
  10. পরিবারের সাথে সমই কাটান,বই পড়ুন ,প্রকৃতির মাঝে সম্য দিন । এতে মস্তিস্ক ও মন দুটোই সতেজ থাকবে।

মোবাইল ফোন অবশ্যই একটি যুগান্তকারী আবিস্কার,তবে এর সথিক ব্যাবহার ই আমাদের সুস্থ জীবন নিসছিত করতে পারে । অতিরিক্ত ও অপ্রজয়িনিও ব্যাবহার থেকে বিরত থাকলে আমরা এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে পারি। তাই, মোবাইল ফোন ব্যাবহার করুন সচেতন ভাবে,সুস্থ থাকুন সবসময় ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি