সামাজিক অবক্ষয়ের মুল কারন ও প্রতিকার

সমাজের অবক্ষয়ঃ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকট

বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে একটি বর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক অবক্ষয়। এটি এম্ন একটি প্রক্রিয়া যার মাদ্ধমে সমাজের নৈতিকতা,মূল্যবোধ ,ও আচরণ গত মানদণ্ড ধিরে ধিরে ভেঙ্গে পড়ে । এই অবক্ষয়ের প্রভাব পড়ছে আমাদের তরুন প্রজম্ম,পারিবারিক বন্ধন,শিক্ষাব্যাবস্থা,এমনকি রাষ্ট্রীয় নীতিতেও।

সামাজিক অবক্ষয়ের মূলকারণ

1. নৈতিক শিক্ষার অভাবঃ

বর্তমান প্রজন্মের মাঝে নৈতিক শিক্ষা দিনদিন দুর্বল হয়ে পরছে।পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উভয় ক্ষেত্রেই নৈতিক শিক্ষার চর্চা কমে যাচ্ছে ,যার ফলে তরুনরা সথিক ও ভুলের পার্থক্য বুঝতে পারছে না ।

2. ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমের অপব্যাবহারঃ

সামাজিক যোগাযোগ মাদ্ধম যেমন ফেসবুক ইউটিউব টিকটক যদি সঠিক ভাবে ব্যাবহার না করা হয়,অশ্লীলতা,সহিংসতা ও গুজবে ছড়ানো সামাজিক অবক্ষয়ের বড় কারণ ।

3. বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক অসাম্যঃ

চাকরির অভাব, দারিদ্র্য ও বৈষম্য অনেক সময় মানুষকে অপরাধের পথে ঠেলে দেয়। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণদের হতাশা থেকে জন্ম নেয় সামাজিক অপরাধ।

4. পারিবারিক অবহেলাঃ

পরিবার হচ্ছে নৈতিক শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখন অনেক পরিবারে বাবা-মা ব্যস্ত থাকেন,সন্তানদের প্রতি পর্যাপ্ত সময় ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় না। এতে সন্তানরা ভুল পথে যেতে পারে।

সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিকার

1.  নৈতিক  শিক্ষার প্রসার:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে নৈতিক শিক্ষা, চরিত্র গঠনমূলক পাঠ ও বাস্তব জীবনের উদাহরণ তুলে ধরা উচিত। পরিবারেও শিশুদের ছোটবেলা থেকে সত্যবাদিতা, সম্মানবোধ শেখানো প্রয়োজন।

2. নৈতিক শিক্ষার প্রসার:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে নৈতিক শিক্ষা, চরিত্র গঠনমূলক পাঠ ও বাস্তব জীবনের উদাহরণ তুলে ধরা উচিত। পরিবারেও শিশুদের ছোটবেলা থেকে সত্যবাদিতা, সম্মানবোধ শেখানো প্রয়োজন।

3. ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ

সন্তানের মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার অভিভাবকদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখতে উৎসাহ দিতে হবে এবং অনুপযুক্ত কনটেন্ট থেকে দূরে রাখতে হবে।

4. বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান

সরকার ও বেসরকারি খাতে যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণ সুবিধা দেওয়া গেলে সমাজে অবক্ষয় কমবে।

5. পারিবারিক বন্ধন মজবুত করা

পরিবারে শিশুদের প্রতি ভালোবাসা, যত্ন ও সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে। বাবা-মাকে সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে, যাতে তারা খোলামেলা কথা বলতে পারে।

সর্বশেষ

সামাজিক অবক্ষয় একটি ভয়াবহ ব্যাধির মতো, যা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে সচেতনতা, শিক্ষা,সঠিক দিকনির্দেশনা ও পারস্পরিক ভালোবাসা দিয়েই আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সমাজকে সুন্দর ও নৈতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা।