আজকের ডিজিটাল যুগে মোবাইল হ্যাক হয়ে যাওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে
দাঁড়িয়েছে। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই আপনি আপনার মোবাইলকে নিরাপদ রাখতে
পারেন। মোবাইল হ্যাক প্রতিরোধে কার্যকর আপনি জানলে নিজের নিরাপত্তা নিজে
নিশ্চিত করতে পারবেন । চলুন জেনে নেই বিস্তারিত ।
স্মার্টফোন ব্যবহারে সামান্য অসতর্কতাই হতে পারে বড় বিপদের কারণ। এই নির্দেশনাগুলো আপনার ডিজিটাল জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে।
image1
আপনি কি জানেন, আপনার ফোন কতটা সুরক্ষিত? অনেক সময় ছোট একটি ভুলেই হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই এখনই জেনে নিন মোবাইল হ্যাক ঠেকাতে কোন কোন ধাপগুলো অনুসরণ করা জরুরি।
সূচিপত্রঃ মোবাইল হ্যাক প্রতিরোধ,এখান থেকে যা যা শিখবোঃ
অনেক সময় আমরা প্রয়োজনে অজানা স্পোর্টস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলি। এসব অ্যাপ
এর ভেতরেই থাকতে পারে হ্যাকারদের কোড। প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোন জায়গা থেকে
অ্যাপ ইনস্টল না করাই ভাল । গুগল প্লে প্রটেক্ট ফিচার চালু রাখলে এমন অ্যাপ থেকে
রক্ষা পাওয়া যায়।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
আপনার ফোন, মেইল ও সোশ্যাল একাউন্টের পাসওয়ার্ড যদি সহজ হয্ তাহলে হ্যাক করা
আরো সহজ হয়। বড় হাত, ছোট হাত সংখ্যা ও স্পেশাল ক্যারেক্টার মিলিয়ে একটি কঠিন
পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। যাতে হ্যাকাররা সহজে আপনার পাসওয়ার্ড অনুধাবন করতে না
পারে। এবং আপনি আপনার ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে পার... পাসওয়ার্ড ম্যানেজার
ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড স্মরণ রাখা সহজ হয়।
রেগুলার আপডেট নিশ্চিত করুন
অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন যে ফোনই হোক না কেন, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করলে
সিকিউরিটি বাগফিক্সড হয় ।ফলে হ্যাকারদের সুযোগ কমে যায়। বেশিরভাগ মানুষ
আপডেট এড়িয়ে যায়, যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনেক সময় ফাঁদ পেতে বসে থাকে হ্যাকাররা। এসব
নেটওয়ার্ক আপনার ডাটা খুব সহজে চুরি করতে পারে, তাই যেখানে সেখানে ফ্রী ওয়াইফাই
দেখে ফোন বা ডিভাইস কানেক্ট না করাই ভালো। ভিপিএন ইউজ করলে কিছুটা নিরাপদ থাকা
যায়।
ফোনে থাকা ডাটা যদি এনক্রিপ্ট করা থাকে, তাহলে হ্যাক হলেও তারা সহজে ডাটা পড়তে
পারবে না। অ্যান্ড্রয়েড সেটিংস থেকেই ডাটা এনক্রিপশন চালু করা যায়। এই
ফিচারটি দেওয়াই হয়েছে যেন আপনি আপনার ফোনটি সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
এটা আপনার প্রাইভেসির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ডিভাইস লক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করুন
প্যাটার্ন, তিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট যে কোন উপায় ব্যবহার করে ফোন লক করুন। এতে ফোন
হারালেও কেউ সহজে ভুলতে পারবে না। গণপরিবহনে চলাচল বা ভ্রমণের সময় মানুষকে
দেখিয়ে কোন আনলক করবেন না কেননা চিন্তাই হলে তারা সহজেই ফোনটি আনলক করতে পারবে
না ।অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট লক সিস্টেম কাজে লাগাতে পারেন ।
অ্যাপ পারমিশন যাচাই করুন
আপনি কোনো অ্যাপ ইন্সটল করলেই সেটি আপনার মাইক্রোফোন, ক্যামেরা বা কন্ট্যাক্ট
অ্যাক্সেস করতে চায়। সব অ্যাপে এই পারমিশন না দিলেও চলে। প্রথমত আপনি এপ ইনস্টল
সচেতন থাকবেন এবং দ্বিতীয়তঃ সব ধরনের অ্যাপ এ সকল পারমিশন দেওয়া থেকে এড়িয়ে
চলবেন।
ফোনে ভালো মানের একটি অ্যান্টিভাইরাস থাকলে তা হ্যাকারদের কোড শনাক্ত করতে পারে।
McAfee, Avast, Kaspersky — ভালো কিছু ফ্রি ও পেইড অপশন রয়েছে।
এটা ফোনের জন্য একটা বর্মের মতো কাজ করে। ফোনের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলে
এটি আপনার ফোনটি সুরক্ষা দেবে ফলে আপনার ফোন স্লো হবে না।
Google ফাইন্ড মাই ডিভাইস সক্রিয় রাখুন
ফোন চুরি হলে যেন আপনি সেটি লোকেট বা ডিলিট করতে পারেন, সে জন্য Google Find My
Device ফিচার চালু রাখুন।
এটি গুগল সেটিংস থেকেই সক্রিয় করা যায়।
ব্যাকআপ ও রিস্টোর রাখা
যদি ফোন হারিয়েও যায়, ডাটা যেন হারিয়ে না যায়, সে জন্য Google Drive বা iCloud এর
মাধ্যমে ব্যাকআপ রাখুন। আপনি আগে থেকেই সচেতন থাকার ফলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ
ডকুমেন্ট আপনি রেস্টর করে রাখতে পারবেন ফলে যে কোন সময় তা ফেরত দেওয়া সম্ভব
হবে।
Techspread24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url